সোমবার (২৭ জুন ২০২২): সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাট ও বল্টু শুধু হাতেই খোলা হয়নি। এটা হাত দিয়ে খোলা যাবে না।
তিনি বলেন, “আমরা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে জেনেছি, এত বড় স্থাপনার নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা যাবে না।” নাট-বল্টু খুলতে সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়েছে।
সোমবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বায়োজিদ তালহারের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। বায়োজিদ একটি ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা পরিকল্পিত ছিল। এ ঘটনায় তার সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। ঘটনার দিন যারা প্রাইভেট কারে পদ্মা সেতুতে যান। অপরজনকে গ্রেপ্তারে সিআইডির গোয়েন্দা গোয়েন্দা টিমের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সিআইডি জানায়, দাঁড়ানো বা ছবি তুলতে নিষেধ থাকলেও প্রথম দিনের শিথিলতার সুযোগে বায়াজিদ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পদ্মা সেতুর নাট-বোল্ট খুলেছিলেন। সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে টিকটক ভিডিও করেছে। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, টিকটকের ভিডিও আপলোড হতেই তা নজরে আসে সিআইডির সাইবার পুলিশের মনিটরিং টিমের। তারপর আমরা প্রথমে প্রযুক্তির সাহায্যে বায়োজিদের অবস্থান নিশ্চিত করি। পরে তাকে শান্তিনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কিছু তথ্য দিয়েছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি যে তিনি হাত দিয়ে সেতুর নাট-বল্টু খোলেননি। কি সরঞ্জামের সাহায্যে এবং কত নম্বর পিলারের নাট-বল্টু খোলা হয়েছে তা তদন্তের ব্যাপার। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। এই কারণে মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।